অনুসন্ধান ফলাফলগুলি - Turing, Alan Mathison, 1912-1954
অ্যালান টুরিং
| birth_place = লন্ডন, ইংল্যান্ড | death_date = | death_place = উইমস্লো, চেশায়ার, ইংল্যান্ড | death_cause = সায়ানাইড (আত্মহত্যা) | resting_place = | resting_place_coordinates = | residence = | nationality = ইংরেজ | other_names = | known_for = টুরিং পরীক্ষা | education = কিং'স কলেজ, কেমব্রিজপ্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, পিএইচ. ডি. | employer = | occupation = গণিতবিদ, যুক্তিবিদ, ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ | title = Order of the British Empire
Fellow of the Royal Society | salary = | networth = | height = | weight = | term = | predecessor = | successor = | party = | boards = | religion = | spouse = | partner = | children = | parents = জুলিয়াস ম্যাথিসন টুরিং
এথেল স্টোনি টুরিং | relatives = | signature = | website = [http://www.alanturing.net/ অ্যালান টুরিং.নেট]
[http://www.turingarchive.org/ টুরিং ডিজিটাল আর্কাইভ]
[http://www.turing.org.uk/turing/ আত্মজীবনী] | footnotes = }}
''অ্যালান ম্যাথিসন টুরিং'' (), অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার, ফেলো অব দ্য রয়েল সোসাইটি (২৩শে জুন, ১৯১২—৭ই জুন, ১৯৫৪) একজন অগ্রণী ইংরেজ কম্পিউটার প্রকৌশলী, গণিতজ্ঞ, যুক্তিবিদ, দার্শনিক, গোপন সংকেত বিশেষজ্ঞ, গাণিতিক জীববিজ্ঞানী এবং ম্যারাথন দৌড়বিদ ছিলেন। কম্পিউটার প্রকৌশলের বিকাশে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি তার টুরিং মেশিনের (Turing machine) মাধ্যমে গণনা (computation) ও অ্যালগোরিদম (algorithm) এর ধারণার প্রচলন করেন। টুরিংকে তাত্ত্বিক কম্পিউটার প্রকৌশল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের সবচেয়ে মৌলিক দুটি ধারণার সাথে তার নাম জড়িত: টুরিং টেস্ট এবং টুরিং মেশিন। প্রথমটি জড়িত বিতর্কিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ধারণার সাথে, দ্বিতীয়টি হচ্ছে কম্পিউটারের বিমূর্ত গাণিতিক গঠন। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের প্রধান সম্মামনা তার নামে, "টুরিং পুরস্কারকে প্রায়ই কম্পিউটার বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার নামে অভিহিত করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং ব্লেচলি পার্কে (bletchly park) অবস্থিত ব্রিটেনের গভার্নমেন্ট কোড অ্যান্ড সাইফার স্কুলের (government code and cipher school) জন্য কাজ করতেন। কিছু সময়ের জন্য তিনি জার্মান নৌবাহিনীর গুপ্তসংকেত বিশ্লেষণে নিয়োজিত হাট-৮ (hut-8) এর নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি জার্মান সাইফার বিশ্লেষণের বেশ কিছু কৌশল আবিষ্কার করেন। তিনি এনিগমা (enigma) মেশিনের বিন্যাস বের করার জন্য তড়িৎযান্ত্রিক (electromagnetic) যন্ত্র তৈরি করেন। গোপন সংকেত বিশ্লেষণে টুরিং এর অবদান অ্যাটলান্টিকের যুদ্ধে নাৎসীদের হারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ধারণা করা হয় ব্লেচলি পার্কের অবদানের কারণে ইউরোপের যুদ্ধের দৈর্ঘ্য দুই থেকে চার বছর কমে যায়।
যুদ্ধের শেষে তিনি ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন যেখানে তিনি এইসের (ace) নকশা তৈরি করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটিতে ম্যাক্স নিউম্যানের কম্পিউটিং ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন যেখানে তিনি ম্যাঞ্চেস্টার কম্পিউটার তৈরিতে সাহায্য করেন। এসময় তিনি গাণিতিক জীববিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি মর্ফোজেনেসিসের রাসায়নিক ভিত্তির উপর গবেষণাপত্র লিখেন এবং স্পন্দিত রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্বন্ধে ধারণা পোষণ করেন যা প্রথম লক্ষ করা হয় ১৯৬০ সালে।
১৯৫২ সালে টুরিংকে সমকামিতার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সে সময়ে যুক্তরাজ্যে সমকামিতাকে অপরাধ[ হিসেবে গণ্য করা হত। জেলে যাওয়া এড়াতে তিনি এস্ট্রোজেন (oestrogen) ইঞ্জেকশন গ্রহণ মেনে নেন। টুরিং ১৯৫৪ সালে তার ৪২তম জন্মদিনের ১৬ দিন আগে মারা যান। ২০০৯ সালে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন টুরিংকে যে ক্ষতিকর চিকিৎসায় বাধ্য করা হয় তার জন্য দাপ্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১৩ সালে রাণী এলিজাবেথ তাকে মরণোত্তর ক্ষমা প্রদান করেন। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ